➤ ফ্রিল্যান্সিংঃ
ফ্রিল্যান্সিং (Freelancing) এর অর্থ হল স্বাধীন বা মুক্তপেশা। অর্থাৎ কেউ যদি দেশ অথবা বিদেশের কোন ব্যক্তি/প্রতিষ্ঠানের অধীনে না থেকে অস্থায়ীভাবে নির্দিষ্ট সময়ের জন্য অর্থের বিনিময়ে ঐ প্রতিষ্ঠানের কোন কাজ করে, তবে তাকে ফিল্যান্সিং বলে। এ ধরনের পেশাজীবিকে ফ্রিল্যান্সার বা স্বাধীনপেশাজীবি বলে । ফ্রিল্যান্সাররা তাদের কাজের উপর খুব বেশি দক্ষ এবং অভিজ্ঞতাসম্পন্ন হয়ে থাবে। এরা শর্ত বা চুক্তির উপর নির্ভর করে কাজ করে থাকে। তাই তাদের মাসিক আয়ও নির্দিষ্ট নয়। কাজ পাওয়া বা না পাওয়ার উপর নির্ভর করে মাসিক আয় কম বেশি হতে পারে।
বৈশ্বিক ডিজিটালােইজেশন ও প্রযুক্তিগত উন্নয়নের সুবাদে দ্রুত এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ। ডিজিটাল আউটসোর্সিংয়ে বিশ্বের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ দেশ হয়ে উঠছে এখন বাংলাদেশ। বৈশ্বিক এ খাতে বাংলাদেশের প্রায় সাড়ে ৬ লাখ ফ্রিল্যান্সার কাজ করছেন, যাদের মাধ্যমে প্রতিবছর দেশে ১০ কোটি ডলারের বেশি বৈদেশিক মুদ্রা আসছে। যা স্থানীয় মুদ্রায় ৮৫০ কোটি টাকা। ২০১১ সালে এ খাতে মাত্র ১০ হাজার ফ্রিল্যন্সার কাজ করত। ২০১৩ সালে তা বেড়ে ৩০ হাজারে দাঁড়ায়। ডিজিটালাইজেশন ও প্রযুক্তিগত উন্নয়নের ফলে ২০১৭ সালে তা ৫ লাখে দাঁড়ায়। এ ছাড়া বাংলাদেশের আইটি খাতে ৩ লাখের বেশি পেশাজীবী কাজ করছে। অনলাইন ফ্রিল্যান্স শ্রমিক সরবরাহে বিশ্বের শীর্ষ দেশ ভারত, বৈশ্বিক ফ্রিল্যান্সার শ্রমিকের ২৪ শতাংশই ভারতের, দ্বিতীয় অবস্থানে থাকা বাংলাদেশের ফ্রিল্যান্সার বিশ্বের ১৬ শতাংশ। তৃতীয় অবস্থানে থাকা যুক্তরাষ্ট্রের ফ্রিল্যন্সার ১২ শতাংশ। একেক দেশ একেক ধরনের আউটসোর্সিং কাজে গুরুত্ব দিচ্ছে। যেমন ভারতের ফ্রিল্যান্সাররা প্রযুক্তি ও সফটওয়্যার ডেভেলপমেন্টে বেশি কাজ করছে, অন্যদিকে বাংলাদেশের ফ্রিল্যান্সাররা বিক্রয় ও বাজারজাতকরণ সেবায় এগিয়ে।

